টানা খরার পর দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দমকা হাওয়া ও অবিরাম বৃষ্টির কারণে মাঠে পাকা বোরো ধান নষ্ট হচ্ছে। ১২ মে থেকে চলমান বৃষ্টিতে অনেক কৃষক ফসল কাটলেও তা মাড়াই ও শুকাতে পারছেন না, আর যারা কাটা সম্ভব হয়নি, তাঁদের জমিতে ধান ঝরে পড়ছে। পানি জমে মাটি ভেজা থাকায় কৃষকরা বাধ্য হয়ে এলাকার পাকা সড়ক ব্যবহার করছেন।
কৃষকরা জানাচ্ছেন, ভেজা ও নরম মাটিতে ধান শুকানোর চেষ্টা করলে তা আরও ভিজে যাচ্ছে। বৃষ্টি হলে বারবার ধান তুলে রাখতে হয়। অধিকাংশ ক্ষেতের ধান পেকে গেছে, কিন্তু কাটতে না পারায় ঝড়-বাতাসে শীষ থেকে ফসল ঝরে পড়ছে। কেটে বাড়ি আনার পরও মাড়াই, পরিষ্কার ও শুকানোর সুযোগ না পাওয়ায় ধানে চারা গজানো সম্ভব।
নূরে আলম সিদ্দিকী, তারাপদ রায়, মহিদুল ইসলাম, পরিক্ষীত চন্দ্র রায়, হিরেন্দ্র নাথ বর্মন, আমিনুল ইসলামসহ স্থানীয় কৃষকরা একই সমস্যার কথা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, অন্যবারের তুলনায় এবার ধানের ফলন ভালো হলেও খরচ বাদে লাভের আশা কম। বাজারে দাম কমে গেছে, প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায়, যা উৎপাদন খরচের তুলনায় কম। ফলে ঋণে আটকে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এবারে ফুলবাড়ীর ১৪,১৮৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে এবং লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯৫,৭৬০ মেট্রিক টন ধানের উৎপাদনের। আবাদ এবং ফলন উভয়ই ভালো হয়েছে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, মৌসুমি বৃষ্টিপাত ২০ মে পর্যন্ত চলবে এবং ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কাও রয়েছে, যার ফলে বৃষ্টি কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ মো. শাহানুর রহমান বলেন, সাধারণ বৃষ্টিতে বিশেষ ক্ষতির আশঙ্কা নেই, তবে শিলাবৃষ্টি হলে সমস্যা হতে পারে। ধান কাটার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৮০ শতাংশ পেকে গেলে কাটতে শুরু করতে।
                           কৃষকরা জানাচ্ছেন, ভেজা ও নরম মাটিতে ধান শুকানোর চেষ্টা করলে তা আরও ভিজে যাচ্ছে। বৃষ্টি হলে বারবার ধান তুলে রাখতে হয়। অধিকাংশ ক্ষেতের ধান পেকে গেছে, কিন্তু কাটতে না পারায় ঝড়-বাতাসে শীষ থেকে ফসল ঝরে পড়ছে। কেটে বাড়ি আনার পরও মাড়াই, পরিষ্কার ও শুকানোর সুযোগ না পাওয়ায় ধানে চারা গজানো সম্ভব।
নূরে আলম সিদ্দিকী, তারাপদ রায়, মহিদুল ইসলাম, পরিক্ষীত চন্দ্র রায়, হিরেন্দ্র নাথ বর্মন, আমিনুল ইসলামসহ স্থানীয় কৃষকরা একই সমস্যার কথা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, অন্যবারের তুলনায় এবার ধানের ফলন ভালো হলেও খরচ বাদে লাভের আশা কম। বাজারে দাম কমে গেছে, প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায়, যা উৎপাদন খরচের তুলনায় কম। ফলে ঋণে আটকে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এবারে ফুলবাড়ীর ১৪,১৮৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে এবং লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯৫,৭৬০ মেট্রিক টন ধানের উৎপাদনের। আবাদ এবং ফলন উভয়ই ভালো হয়েছে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, মৌসুমি বৃষ্টিপাত ২০ মে পর্যন্ত চলবে এবং ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কাও রয়েছে, যার ফলে বৃষ্টি কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ মো. শাহানুর রহমান বলেন, সাধারণ বৃষ্টিতে বিশেষ ক্ষতির আশঙ্কা নেই, তবে শিলাবৃষ্টি হলে সমস্যা হতে পারে। ধান কাটার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৮০ শতাংশ পেকে গেলে কাটতে শুরু করতে।
 
  কংকনা রায়, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
 কংকনা রায়, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:  
                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                     
                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                